Ative of student tuition
There are alternative jobs for tuition, through which a student can set up his own career as well as at the same time. Among the students, other alternatives have started to become popular. More workplaces are being created as a new possibility. The advantage of getting involved in these tasks is that it can also be a career preparation for you. This experience will be useful in the work life. As a past experience, you can mention it in CV; which is not possible in the case of tuition
But remember that
Whatever you do, remember that reading is always at the top of your priority list. Avoid such work, It is a loss of self-study. Do not harm the study, more earning greed.
Dear stundents
Collection for Bangladeshi students from Prothom-alo
Bengali language for Bengali students
ছাত্রজীবনে নিজ স্বপ্নের চারাগাছে যত্নের সময়টুকু নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে অন্যের স্বপ্নবীজ বোনারনামই টিউশনি। এই টিউশনি ঢাকা কিংবা মফস্বল শহরে লাখো ছাত্রছাত্রীর টিকে থাকার চাবিকাঠি।অনেকে একের অধিক টিউশনি করে সংসারও চালান। পাশাপাশি থাকে পড়াশোনার হ্যাপা। এ দুইয়েরমাঝে পড়ে শিক্ষার্থীদের জীবন চিড়ে-চ্যাপটা।
অথচ টিউশনির বিকল্প কর্মসংস্থানও রয়েছে, যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশিএকই সময়ে নিজস্ব ক্যারিয়ারও দাঁড় করাতে পারেন। যদিও এটা সত্য যে শিক্ষাজীবনে টিউশনিএখনো সবচেয়ে ভালো বিকল্প শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইদানীং অন্যান্য বিকল্পওজনপ্রিয়তা হতে শুরু করেছে। নতুন সম্ভাবনা হিসেবে তৈরি হচ্ছে আরও কিছু কর্মক্ষেত্র।
এসব কাজে যুক্ত হওয়ার সুবিধা হলো, এটি আপনার জন্য ক্যারিয়ারের প্রস্তুতিও হয়ে উঠতে পারে।এই অভিজ্ঞতা কর্মজীবনে কাজে লাগবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা হিসেবে আপনি সিভিতে এর উল্লেখ করতেপারবেন; টিউশনির ক্ষেত্রে যেটা সম্ভব নয়।
ফ্রিল্যান্সিং
দেশের ৬৫ শতাংশই তরুণ। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ শতাংশ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকার। যেহেতু পর্যাপ্তচাকরির ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না, সেহেতু বর্তমান সময়ে বিকল্প ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ভীষণজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অনলাইনের এ পেশা সম্মানজনক এবং মুক্ত। এক জরিপমতে, বাংলাদেশে এখনই ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক। সংখ্যাটা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়েনির্দিষ্ট কোনো বিভাগ নেই। ধরে নেওয়া যাক, আপনি আঁকতে ভালোবাসেন, তাহলে গ্রাফিকসডিজাইন শিখুন। গণিতে ভালো হলে শিখতে পারেন প্রোগ্রামিং কিংবা ওয়েব ডিজাইনিং। কিংবাফটোগ্রাফিও শিখতে পারেন। তবে কোনো কিছুই বেসিক লেভেলে শিখবেন না। কেননা, বেসিকলেভেলের কোনো কাজ পাওয়া যায় না। যেকোনো কিছুই শিখুন না কেন, শিখতে হবে পেশাদারপর্যায়ে।
এ ব্যাপারে যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের পরামর্শ নিন কীভাবে শুরু করবেন, কী করবেন আর কী করবেননা।
অনুবাদ
বিদেশি ভাষার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনেকেইপারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো অনুবাদ খুঁজে থাকেন। এ ছাড়া ঢাকায় অনেক অনুবাদ কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে বেশির ভাগ মানুষই আসেন দুই-এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করতে। প্রতি পৃষ্ঠায় ৫০ থেকে ১০০ টাকাসম্মানী পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া নানা রকম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে খণ্ডকালীন অনুবাদের সুযোগ।এখানে আট থেকে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এ জন্য স্নাতক সম্পন্ন করার দরকারনেই, প্রয়োজন শুধু ভাষার সঠিক ব্যবহার।
প্রোডাক্ট রিভিউয়ার
পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের একটি বড় উৎস হতে পারে প্রোডাক্ট রিভিউয়ারের কাজ। এটাঅ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। অনলাইন শপিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় প্রোডাক্ট রিভিউসাইটগুলোর জনপ্রিয়তাও হু হু করে বাড়ছে। অ্যামাজন কিংবা ই-বের কোনো পণ্য কেনার আগেমানুষ সাধারণত অনলাইনে সেসব পণ্যের রিভিউ পড়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায়। আপনি এসবখ্যাতনামা অনলাইন শপিং জায়ান্টের পণ্যের রিভিউ লিখে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতে পারেন। এজন্য অবশ্য ইংরেজিতে ভালো হওয়া জরুরি। আপনার পর্যালোচনা পড়ে কোনো ক্রেতা অ্যামাজনেরপণ্য কিনলে প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে কমিশন পাবেন। প্রোডাক্ট রিভিউ অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিংয়েরঅন্যতম মাধ্যম। এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ শতাংশ ভোক্তার মত, প্রোডাক্ট রিভিউতাদের কেনাকাটার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
ইউটিউব থেকে আয়
অনলাইনে আয়ের হাজারো পদ্ধতির মধ্যে ইউটিউব ভীষণ জনপ্রিয়। ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেলখুলে মজাদার ও শিক্ষণীয় ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন। চ্যানেল জনপ্রিয় হলেইউটিউবের অ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ থেকে অফার পেতে পারেন। ওদের অংশীদার হতে পারলে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন সম্ভব। তবে এক ভিডিওর নামে অন্য ভিডিও দিয়ে প্রতারণা করলেআয় তো হবেই না, উল্টো চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কয়েক মাস আগে গুগল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব চ্যানেলে ১০ হাজারের কম ভিউ রয়েছে, সেসব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে না। তবেইউটিউবের নিয়ম মেনে ঠিকমতো চ্যানেল চালাতে পারলে ভালো অঙ্কের অর্থ আসবে।
লেখালেখি
ভালো লেখার হাত এবং ভালো জানাশোনা থাকলে এটা ছাত্রজীবনে টিউশনির দারুণ বিকল্প হতেপারে। ইন্টারনেটে সবকিছুই আসলে কনটেন্টনির্ভর। আপনি ইন্টারনেটে যা কিছু পড়ছেন, তা আপনারমতোই কেউ লিখেছে। অর্থাৎ, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পার্টটাইম কিংবা ফুলটাইম কনটেন্ট রাইটাররয়েছে। এ খাতে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ আছে। ধরে নেওয়া যাক, আপনিঅটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার, মানে এ শাখায় আপনার ভালো জ্ঞান আছে। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এবিষয়ে লিখতে পারেন পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। লেখালেখির বিষয় আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে।
অনলাইন ছাড়াও নানা পত্রপত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনে লিখতে পারেন। দৈনিক পত্রিকায় পেশাদারকলাম লেখকদের বেশ কদর। বাংলাদেশের বাইরেও নানা পত্রিকায় লিখতে পারেন। সে জন্য অবশ্যভাষার দক্ষতা জরুরি। পত্রিকাগুলো নিয়মিত সাংবাদিকের বাইরে প্রচুর প্রদায়ক নিয়ে থাকে। প্রদায়কহিসেবে কাজ করলে লেখার বিনিয়মে আয় করার পাশাপাশি এখানে আপনার ক্যারিয়ারও তৈরি হতেপারে।
খণ্ডকালীন চাকরি
বিভিন্ন নামকরা রেস্টুরেন্ট, ফ্যাশন হাউস নিয়মিত কর্মীর চেয়ে খণ্ডকালীন কর্মীর প্রতি বেশি আগ্রহদেখায়। এসব প্রতিষ্ঠানে নিজের সুবিধামতো সময় বেছে নেওয়ারও সুযোগ থাকে। পারিশ্রমিকও মন্দনয়।
ছোটখাটো ব্যবসা
আগামী উদ্যোক্তা হতে চাইলে ছাত্রজীবন থেকেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে খেয়ালরাখবেন, পড়াশোনার কোনো ক্ষতি যেন না হয়। বাসায় বসে স্বল্প পুঁজিতে যেসব ব্যবসা করা যায়,সেসব নিয়ে কাজ করা ভালো। যেমন টি-শার্টের ডিজাইনিং ও বিক্রি, ইলেকট্রনিকস পণ্য মেরামতকরে বিক্রি, অ্যাকুরিয়াম বানানো, বই বাঁধানো, এমনকি ছোটখাটো খামারও করতে পারেন। তবেগ্রামের ছাত্ররা ছোট পরিসরে খামার করার কার্যক্রম হাতে নিতে পারেন।
ঘরের বাইরেও এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে, যেখানে স্বল্প পুঁজিতে টিকে থাকা যায়। ঢাকার রাস্তাঘাটেচায়ের দোকানের অভাব নেই। কিংবা ছোটখাটো খুপরি রেস্টুরেন্টও প্রচুর। দু-তিনটি চায়ের টংদোকান কিংবা একটি খুপরি রেস্টুরেন্ট নিশ্চিত করতে পারে আপনার টিকে থাকার ভিত্তি। মনেরাখবেন, লাভ-ক্ষতি ব্যবসারই অংশ। ছাত্রজীবনে সৃজনশীল ব্যবসায় মেধা খাটালে ক্ষতির ঝুঁকি কম।
তবে মনে রাখবেন
যা-ই করুন না কেন, মনে রাখবেন, পড়াশোনা যেন সব সময় আপনার অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষেথাকে। নিজের পড়াশোনার ক্ষতি হয়—এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন। আরও বেশি আয়ের লোভেকাজে আরও বেশি ঝুঁকে পড়ে পড়াশোনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না।
No comments:
Post a Comment